লংগদুতে উদ্ধারকৃত লাশটির পরিচয় প্রসনজিৎ সূত্রধর,নেপথ্যে অসম প্রেম
ফাইল ছবি
লংগদু প্রতিনিধিঃ- রাঙামাটির লংগদুতে গত বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) লেকের পানিতে থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় অবশেষে মিলেছে। নিহত যুবকের নাম প্রসনজিৎ সূত্রধর (৩০)। সে টাঙ্গাইল জেলা সদরের ১৫নং ওয়ার্ডের বিশ্বাস বেতকা এলাকার বাসিন্দা মঙ্গল সূত্রধরের ছেলে।
শনিবার (৬ মার্চ) লংগদু থানা সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত নিহত যুবকের প্যান্টের পকেটে পাওয়া মোবাইল ফোনের সীমের সূত্রধরে লংগদু সরকারি মডেল কলেজের আইসিটি বিভাগের মৌসুমী পারভীন নামে এক নারী প্রভাষকের সাথে যোগাযোগ ছিল বলে জানা যায়। পরে ওই নারী প্রভাষককে জিজ্ঞাসাবাদে নিহত যুবকের প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায়।
পুলিশ আরো জানায়, নিহত যুবকের সাথে প্রভাষক নারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সেই সুবাদে নিহত প্রসনজিৎ সোমবার (১ মার্চ) সকালে লংগদুতে আসে এবং নারী প্রভাষকের সাথে দেখা করে। এরপর প্রসনজিৎকে মাইনীবাজারে পৌঁছে দিতে কলেজের যবুর আলম নামে এক কর্মচারী সাহায্য নেয় প্রভাষক। তিনজন মিলে সকাল সাড়ে দশটার দিকে কলেজ এলাকা থেকে পায়ে হেটে মাইনী বাজরের উদেশ্যে যাত্রা করেন। যাবার পথে আর্মি জোনের টাইগার টিলা নামক স্থান থেকে বিদায় নেয় নারী প্রভাষক। এ সময় দুজনের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয় বলে জানায় পুলিশ। প্রভাষক ফিরে আসলেও থেকে যায় প্রসনজিৎ ও কলেজের কর্মচারী। ১৫-২০ মিনিট পর কলেজ কর্মচারী যুবক ফিরে আসেন কলেজে। এরপর প্রসনজিৎ মাইনীবাজারে পৌঁছেছে কিনা তা জানতে তার মোবাইলে কল দিলে তখন তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনার তিনদিন পর মাইনী আর্মী ক্যম্পের টাইগার টিলার পাশে কাপ্তাই লেকে প্রসনজিতের মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহত প্রসনজিৎ কি ভিন্ন ধর্মের নারীর সাথে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় জনমনে। তবে নিহতের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বা ভিসেরা পরীক্ষার পরই হয়তো জানা যাবে এই মৃত্যুর আসল রহস্য।
এ ব্যাপারে লংগদু থানার ওসি আরিফুল আমিন বলেন, নিহত প্রসনজিতের পরিচয় মিলেছে। এবং ঘটনার সাথে জড়িত প্রভাষক ও কলেজের কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। নিহত প্রসনজিতের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেছেন এবং প্রসনজিতের পিতা বাদী হয়ে আটককৃত দুজন সহ অজ্ঞাত আরো তিনজকে আসামী করে লংগদু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন
আলোকিত রাঙামাটি