রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১২:২৩, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯

লাল বাসে চড়ে তিতুমীরের ক্যাম্পাসে আসা হলো না সাদিয়ার

লাল বাসে চড়ে তিতুমীরের ক্যাম্পাসে আসা হলো না সাদিয়ার

রসায়ন বিভগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা। তখন মে মাস। শরীরের বেধেছিল ক্যান্সার। ধীরে ধীরে সব হয়ে যাচ্ছিল নিস্তেজ। তখন এমসি হাসপাতালে জরুরি অপারেশনে কোলন ওভারি ক্যান্সার ধরা পড়ে। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন মিরপুরের আলোক হেলথ কেয়ারে। টাকার অভাবে নিয়ে আসা হয় বাসায়। সেখানেই হয়তো দিন দিন গুণছে মৃত্যুর প্রহর। 

কিন্তু তাতেও থেমে থাকেনি স্বপ্ন দেখা। জীবনের গোধূলিতে পৌঁছেও নিজের কল্পনায় ভাসিয়ে তুলেছিলেন তিতুমীর কলেজের লাল-বাসে চড়ার স্বপ্ন। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তার আর সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন না । নিয়ে গেলেন পৃথিবী থেকে অনেক অনেক দূরে।

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মেনে নিতে হলো তাকে। শনিবার ভোরে জীবনযুদ্ধের এই লড়াকু সৈনিক হার মেনে নেন।

কারো রক্ত লাগবে? আরে সাদিয়া আছেতো ব্যবস্থা হয়ে যাবে। এমনই একটি নাম সাদিয়া।

একাধিকবার মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়েছেন। ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সবচেয়ে বড় সংগঠন বাঁধনের কার্যক্রমে। বন্ধুবান্ধব নিয়ে যে সবসময় ‘ক্যান্সার সচেতনতা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান’ কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন। আজ সে সেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। এমনটাই ভেবে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তিতুমীর কলেজে।

তার অসুস্থতার পর চিকিৎসা ব্যয় বহনে এগিয়ে এসেছিলেন অনেকে। তিতুমীর কলেজ থেকেও চেষ্টা চালানো হয়েছিল তাকে বাঁচিয়ে তোলার। তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি সহ বেশ কিছু সংগঠন ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসেছিলো তার পাশে। তার সাহায্যের সহযোগিতায় ‘ডেইলি বাংলাদেশ’ এ ও বেশ কয়েকবার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।  কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর তা সম্ভব হয়নি।

মৃত্যুর  আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এগিয়ে আসা মানুষদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, হয়তো বা আমার সময় শেষ। আমি এখন কথাও বলতে পারছি না। আমার চিকিৎসার জন্য যারা যেখান থেকে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

আলোকিত রাঙামাটি