রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:০১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী শাকিল আটক

শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী শাকিল আটক

শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী মো. মাজহারুল ইসলাম ওরফে শাকিল ওরফে শাকিল মাজাহারকে (৩৫) আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। 

শনিবার ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাকে আটক করা হয়। র‌্যাবের পরিচালক(লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) লেফট্যানেন্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, আটককৃত শাকিল শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের ডানহাত হিসেবে পরিচিত ছিল। সে র্দীঘদিন ধরে জিসানের পক্ষে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি করে আসছিল।

২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি শুরু করে। পরে ঢাকা মহানগর ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়। ২০০৯ সাল থেকে যৌথভাবে টেন্ডারের কাজে জড়িত হয়ে পড়ে সে। রেলওয়েতে ছোট ছোট কাজের টেন্ডার নিয়ে কাজ করতো। এভাবে ২০১০-২০১২ সাল পর্যন্ত টেন্ডার নিয়ে কাজ করে। ২০১৩ সালে গ্রামের বাড়ি ফেনীতে চলে যায়। পরে পারিবারিক দোকানের কাজের পাশাপাশি গ্রাম্য রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। ২০১৫ সালে পুনরায় ঢাকায় এসে রাজনীতি শুরু করে। কিন্তু যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূইয়ার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। ফলে তৈরি হয় রেলওয়ের টেন্ডার কাজ নিয়ে বিরোধ। 

২০১৬ সালের জুনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের সহ-সম্পাদক রাজিব হত্যার এজাহারে নাম আসার ৪ দিন পরে শাকিল চীনে চলে যায়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত চীনে বসবাস করে এবং কার্গো সার্ভিসের কাজ করে। ২০১৮ সালে চীন থেকে দুবাই যান এবং ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দুবাই ছিল। দুবাই থাকা অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে জিসানের পক্ষে লেবার ব্রোকারের কাজ করতো। দুবাইতে জিসানের সঙ্গে লেবার আবাসিক ভবনে থাকতো। সেই ভবনে থেকে তারা তাদের সন্ত্রাসী পরিকল্পনা এবং সেখান থেকেই তাদের বিভিন্ন সহযোগীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো।

শাকিল ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারিতে দেশে আসে। মূলত তার দেশে আসার উদ্দেশ্য ছিল জিসানের নির্দেশ ও সহযোগিতায় বাংলাদেশে তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করে আন্ডার-ওয়ার্ডের নেতৃত্ব দেয়া। এ প্রেক্ষিতে শাকিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভর্তির উদ্দেশ্য ছিল হাসপাতালে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া। র‌্যাবের অভিযানের ফলে তার এ প্রচেষ্টা নসাৎ হয় বলে জানান লেফট্যানেন্ট সারওয়ার-বিন-কাশেম। 

আলোকিত রাঙামাটি