রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আলোকিত রাঙ্গামাটিঃ-

প্রকাশিত: ১০:০৫, ২১ মার্চ ২০২০

সাজেকে হামে আক্রান্তদের অবস্থা স্থিতিশীল, মৃতের সংখ্যা বাড়েনি

সাজেকে হামে আক্রান্তদের অবস্থা স্থিতিশীল, মৃতের সংখ্যা বাড়েনি

|| বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি || রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে হামে আক্রান্তদের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মৃতের সংখ্যাও ৬ জন থেকে বাড়েনি। এরইমধ্যে বিজিবি ও বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তবে অনেকেই আবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভালোমানের কোন ডাক্তার ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকায়।

ভুবন ত্রিপুরা নামে স্থানীয় একজন অভিযোগ করেন, কাগজে কলমে ২ জন এমবিবিএস ডাক্তারের নেত্রীত্বে মেডিকেল টিম থাকার কথা বলা হলেও তারা কেও নেই আছেন সহকারীরা তারাই কষ্টকরে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।

অভিযোগের বিষয়ে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্ব প্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার বিষয়টি শিকার করে বলেন, মেডিকেল অফিসার আমান কায়ছার মেডিকেল টিম সহ রওনা হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই তিনি ঐ এলাকাতেই অবস্থান করছেন। বাকীরা ৮ ঘন্টা পায়ে হেটে  ঘটনা স্থলে পৌঁছে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।

হঠাৎ হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার বিষয়ে চিকিৎসক বলেন, মূলত দূর্গমতার কারণে আক্রান্ত অঞ্চলে সময়মত পৌঁছানো যায়না বিধায় শতভাগ শিশুকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়ে উঠেনা। গড়ে ৪০ ভাগ শিশু টিকার আওতায় আসে। এছাড়া অনেক শিশু পুষ্টিহীনতায় ভোগে তাই তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম থাকে। এমতাঅবস্থায় আক্রান্ত শিশুদের টিকাও দেয়া যায়না। রোগটি যেহেতু ছোঁয়াছে তাই দ্রুত শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই আলাদা করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সাজেক ইউনিয়নের দূর্গম ৩ টি গ্রামে হামে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ শিশুর মূমুর্ষ অবস্থায় রয়েছে আরো ১০০ ওর বেশী শিশু। বয়ষ্ক লোকও আছে  ৭-৮ জন।

সাজেক ৯ নং ওয়ার্ডের সিয়ালদাহ এলাকার ইউপি সদস্য ও কারবারি জুপ্পুুইথাংক ত্রিপুরা বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে গত দুইদিনে ৬ শিশু মারা গেছে।

নিহত শিশুরা হলো, সাগরিকা ত্রিপুরা (১১), সুজন কুমার (৯), কহেন ত্রিপুরা (১০), বিধান ত্রিপুরা (১২), রেজিনা ত্রিপুরা (৮), নিক্সন ত্রিপুরা (৭)। 

সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন শিশু মৃত্যুর বিষয়টি শিকার করে বলেন, দূর্গম অঞ্চল হওয়ায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে কিছু সমস্যা হচ্ছে ।ইতো মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্স ও বিজিবির ২ টি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারের সহযোগীতায় আক্রান্তদের উন্নত চিকিৎসার ব্যাবস্থা না করলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু বলেন, শিশু মৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক আমরা ঘটনাস্থলে মেডিকেল টিম পাঠিয়েছি আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সহায়তা নেয়ার চেষ্টা করছি। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে সমস্যাটি কেটে যাবে।

বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডঃ ইফতেকার আহম্মেদ বলেন, আমরা দুইটি মেডিকেল টিম পাঠিয়েছি তারা কাজ করছে।

আলোকিত রাঙামাটি