সাজেকের কাজল চাকমা বাঁচতে চায়
বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ- রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দূর্গম সাজেক ইউনিয়নের ভাইবোন ছড়া এলাকার কাজল চাকমা বাঁচতে চায়। কাজল চাকমা দীর্ঘ ৩ বছর যাবত দুরারোগ্য ব্যাধি হার্ট ও লিভারে জিবানু সংক্রামণের মত কঠিন রোগে ভুগছেন। সে সাজেক ইউনিয়নের ভাইবোন ছড়া গ্রামের মৃতঃ লংকাশ্বর চাকমার ছেলে। পরিবার ছাড়াও তার ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রয়েছে।
কাজল চাকমার স্ত্রী তংগলী চাকমা জানান, তাদের পরিবার এক সময় মোটামুটি ভালোই চলছিলো। গত ৩ বছর পূর্বে তার স্বামী কাজল চাকমা হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা ও পরীক্ষা করে জানা যায় কাজল চাকমার দূরারোগ্য ব্যাধি হার্ট ও লিভারে জীবানু সংক্রমণ হয়েছে। তার পর থেকেই তার পরিবারে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। সামান্য জুমচাষের উপড় নির্ভর কাজল চাকমার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসা ব্যায় মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।
এমতাবস্থায় কাজল চাকমাকে দেশের বাহিরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন চট্টগ্রাম মেডিকেলের চিকিৎসকগণ। কিন্তু হতদরিদ্র কাজল চাকমার পরিবারের পক্ষে যেখানে দেশেই চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না সেখানে দেশের বাহিরে তো রীতিমত দুঃস্বপ্ন। নিরুপায় হয়ে নিজ গ্রাম সাজেকের ভাইবোন ছড়ায় চিকিৎসা বিহীন কঠিন দুসঃহ জীবন পার করছেন। তাই কাজল চাকমার জীবন বাঁচাতে দেশবাসীর সহযোগীতা চেয়েছেন তার বড় ভাই জুমচাষী কালাবো চাকমা ও তার স্ত্রী তংগলী চাকমা। এ নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কাজল চাকমার বড় ভাই কালাবো চাকমা একটি বিকাশ (পার্সোনাল- ০১৬৪৬-৬৫৮৬৯৭) নাম্বার সহ সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবিব জিতুর দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পত্র সহ আবেদন করলে সরকারী ভাবে ৫০ হাজার টাকা সহযোগীতার সুযোগ রয়েছে। কেউ আবেদন করলে যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য যে গত ২৬ আগস্ট বুধবার সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলার ৪ জন ক্যানসার রোগীকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবিব জিতু। এ সময় উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জয়েচ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত রাঙামাটি