রাঙামাটি । বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ , ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

প্রকাশিত: ১৪:১৮, ১ ডিসেম্বর ২০২০

সারারাত আলো ছড়ায় রাঙামাটির আঁকাবাঁকা সড়ক

সারারাত আলো ছড়ায় রাঙামাটির আঁকাবাঁকা সড়ক

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার এলাকার ১৬টি পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে সোলার স্ট্রিট লাইট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- রাঙামাটিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অনেক আগেই পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হয়েছে পাকা সড়ক। এতদিন সেসব সড়ক ছিল অনিরাপদ। আঁকাবাঁকা সড়কে ঘটতো ছোট-বড় দুর্ঘটনা, ছিনতাই-ডাকাতির শিকার হতো নিরীহ মানুষ। এবার দুর্ঘটনা হ্রাস ও সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে চমকপ্রদ উদ্যোগ নিয়েছে সদর উপজেলা পরিষদ।

পরিষদের উদ্যোগে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি সড়কে বসানো হয়েছে সৌরবাতি। এখন আর সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে ঘটবে না দুর্ঘটনা, ছিনতাই-ডাকাতির শিকার হবে না নিরীহ মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

সদর উপজেলার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল- আঁকাবাঁকা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে আলোর ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা জোরদার করা। দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি হাজারো মানুষ।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বিপদজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ সড়কগুলোতে সৌর শক্তি দ্বারা পরিচালিত সোলার স্ট্রিট লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব লাইট রাতে আলো দেয়ার পাশাপাশি আঁকাবাঁকা সড়কের সৌন্দর্য অনেকগুণ বাড়িয়েছে। এতে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও নিরাপদে রাঙামাটি ভ্রমণ করতে পারবেন।

রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান বলেন, উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে রাঙামাটি আসনের এমপি দীপংকর তালুকদার রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক বাতি স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা সদরের রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার এলাকার ১৬টি পয়েন্টে সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে ওঠে এসব লাইট। লোড শেডিংয়ের ঝামেলা না থাকায় এসব লাইট সারারাত জ্বলে। আবার সকালে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, সৌরবাতির কারণে রাতে মহাসড়কে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে স্বস্তি ফিরেছে। রাঙামাটি সদর উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। সড়কে লাইটের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।

আলোকিত রাঙামাটি

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়