রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:১৮, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯

সু চি মিথ্যাবাদী, বলছে বার্মিজরাই

সু চি মিথ্যাবাদী, বলছে বার্মিজরাই

ছবি: সংগৃহীত


একসময় গণতন্ত্রের আইকন হিসেবে পরিচিত সু চি এখন বার্মিজদের কাছেই ‘মিথ্যাবাদী’ নামে খ্যাত। গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছেন সু চি। ২০১৬ সালে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন সু চি। তবে তিনি ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও দেশটির গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্বে দেশটির সেনাবাহিনী। 

সমালোচকদের মতে, মিয়ানমার সরকারের সাজানো স্টেট কাউন্সিলর হলেন সু চি। বিদেশি নাগরিকত্ব থাকায় দেশটির সরকার প্রধান হতে পারেননি তিনি। তাই সেনা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকেই তিনি দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে এসব কারণেই সেনাবাহিনীর নৃশংস অপরাধের পরেও নীরব সু চি।

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন নোবেল বিজয়ী অং সান সু চি। সেখানে নিজ দেশের হয়ে সাফাই গেয়েছেন তিনি।

এর আগে রোহিঙ্গা গণহত্যায় শুরু থেকেই নীরব ছিলেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সু চি। ব্যাপারটিকে বিভিন্নভাবে এড়িয়েও গেছেন তিনি।

২০১৭ সালের আগষ্টে দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর ধর্ষণ, গণহত্যা সহ আরো অনেক সহিংস কার্যক্রম চালিয়েছে। তবে রক্তাক্ত সেই অভিযানকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আখ্যা দিয়ে সেটিকে বৈধতা দিয়েছিলেন সু চি।

প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা যখন সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে, বিশ্বমঞ্চে তখন ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন সু চি। তবে এরপরেও সেনাবাহিনীর নৃশংস ধর্ষণ, গণহত্যা ও ঘরবাড়ি জালিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে কোনো ধরণের ব্যবস্থা নেননি তিনি।

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা মামলায়ও নিজের দেশের সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গাইছেন সু চি। ২৮ বছর আগে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে নোবেল জয়ী সু চি আজ আন্তর্জাতিক কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন।

তার এই নীরবতার দায় নিতে অনাগ্রহী মিয়ানমারের প্রবাসী নাগরিকরাও। মঙ্গলবার যখন রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার শুরু হয়েছে তখন আদালতের বাইরে সমাবেশ করেছেন বার্মিজরা। নিজ দেশের গণহত্যার দায় মেনে নিতে পারছেন না এই প্রবাসী মিয়ানমারেরা।

দ্য হেগে মামলার শুনানির সময় আদালতের বাইরে উপস্থিত ছিলেন বার্মিজ প্রবাসী মোয়ে মোয়ে। এক সময় সু চিকে আদর্শ ভাবতেন তিনি। তবে আজ তাকে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যায়িত করছেন তিনি।

তিনি বলেন, মিয়ানমারে যা কিছু ঘটেছে সে বিষয়ে দেশটির প্রবাসী নাগরিকদের মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে। এছাড়া পুরো বার্মা জুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছেন সামরিক স্বৈরশাসকেরা। এটি আমাদের বার্মা নয়। এরা বার্মিজ জনগণ নয় আর তাদের ধর্মও এটি নয়। আমরা বর্ণবাদী জাতি নই।

সূত্র : রয়টার্স

আলোকিত রাঙামাটি