রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ১০ আগস্ট ২০২০

সোমবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু

সোমবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু

ফাইল ছবি


লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ- রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস দশ দিন সকল প্রকার মৎস্য আহরণ, বিক্রয় ও বাজারজাত করণ বন্ধ থাকার পর সোমবার মধ্য রাত থেকে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ প্রক্রিয়া। তাই জাল, নৌকা ও যাবতীয় সরঞ্জামাদি সহ প্রস্তুতি নিয়ে নদীতে মাছ ধরার কাজে নেমে পড়েছে জেলেরা। মৎস্য আহরণে আবারো সরগরম হয়ে উঠবে এশিয়ার এই বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদ।  

প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে প্রাকৃতিকভাবে দেশীয় জাতের মাছের প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধির জন্য রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ১লা মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই তিন মাস হ্রদে সকল প্রকার মাছ ধরা, বাজার জাত ও রপ্তানি করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এই সময়ে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে রুই কার্প ও মৃগেল জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করে। 

বিএফডিসি লংগদু উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আকবর হোসেন জানান, সোমবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। নিবন্ধিত মৎস্যজীবিরা আবার ব্যস্ত হবেন মাছ আহরণের কাজে। ১ আগস্ট হ্রদে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও এবার বৃষ্ঠিপাত কম হওয়ায় কারণে সময়মত কাপ্তাই হ্রদের পানি পরিমাপ মোতাবেক হয়নি। তাই নিষেধাজ্ঞা সময় আরো দশ দিন বাড়ানো হয়েছিল।

তিনি আরো জানান, তিন মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকাকালীন সময়ে সরকার নিবন্ধিত জেলেদের মৎস্য ভিজিএফ খাদ্য শস্য সহায়তা দিয়ে থাকে। যাতে এ সময় মৎস্যজীবিরা তাদের পরিবারে খাদ্যাভাব দেখা না দেয়। 

কাপ্তাই হ্রদের সিংহভাগ মাছ আহরণ হয় লংগদু উপজেলার কাট্টলী বিল থেকে। এখানকার উৎপাদিত মাছ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে রাঙামাটি জেলা শহর হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানী হয়ে থাকে। এর ফলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় করে থাকে।   

আব্দুর রহিম নামের এক জেলে জানায়, প্রতি বছরের মতো এবারো প্রায় ৩ মাস মাছ ধরা নিষেধ করেছে সরকার। তাই মাছ ধরা থেকে বিরত ছিলাম। কিন্তু অন্যান্য বছর গুলোতে সঞ্চিত টাকা দিয়ে অথবা অন্য কোন কাজ করে সংসার-পরিবার চালানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এবার করোনার কারণে পরিবারের সকলকে নিয়ে ঈদ-উৎসবে স্বাভাবিক দিন কাটাতে পারি নাই। অনেক ধার দেনা করে জাল-নৌকা ঠিক করে নদীতে এসেছি মাছ ধরার জন্য।

অন্যদিকে সচেতন মহল জানায়, নিষিদ্ধ ৩ মাসের মধ্যে ২০-২৫ দিন আগে  মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছিল। যথা সময়ে হ্রদের পানি বৃদ্ধি না হওয়ায় এই পোনা মাছগুলো হ্রদের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যেতে পারে নি। মাছ ধরা উন্মুক্ত করে দেওয়ায় জেলেদের জালে পোনাগুলো ধরা পড়ার আশংকা করছেন সচেতন মহল।  

আলোকিত রাঙামাটি