রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৫:১৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্বার্থন্বেষী মহলের রোষানল থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন

স্বার্থন্বেষী মহলের রোষানল থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন

রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ- সমাজের শান্তি বিনষ্টকারী স্বার্থন্বেষী মহলের অহেতুক রোষানল থেকে রক্ষার্থে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাউখালী উপজেলায় বসবাসকারী চাকুরীচ্যুত আনসার সদস্য মোঃ ফরিদ খন্দকার ও তার পরিবার।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ফরিদ খন্দকারে স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, মোঃ হোসেন ও মোঃ সেলিম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চাকুরীচ্যুত আনসার সদস্য মোঃ ফরিদ খন্দকার বলেন, আমার নিকট আত্মীয়-স্বজন যোগসাজসে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল আমাকে সামাজিক হেয় প্রতিপন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আমার ও আমার স্ত্রীরসহ আমার আপন তিনজনের বিরুদ্ধে ‘কাউখালী চাকুরিচ্যুত আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে স্বজনদের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ ও কাউখালীর ফরিদ খন্দকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়’ এইসব মনগড়া সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে আসছে। যা প্রকাশিত সংবাদগুলি ভিত্তিহীন, বানোয়াট, মনগড়া ছাড়া কিছুই নয়। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে আমাকে সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করার হীন উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে এইসব দৈনিক পত্রিকার দুইটির স্টাফ রির্পোটাস ও রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিরা মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করে ভুয়া ভিত্তিহীন, মনগড়া, বাস্তব বিবর্জিত তথ্য সরবরাহ করে সু-কৌশলে তাদেরকে প্রভাবিত করে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করে। আর উল্লেখিত পত্রিকায় দুইটিতে যেসব সংবাদ আমার বিরুদ্ধে পরিবেশন করেছে তার সাথে আমার জীবন যাপনের নুন্যতম মিল নেই।

তিনি আরো বলেন, প্রকাশিত দুইটি প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করেছেন কাউখালী হাসপাতালের সামনে শুধু আমি ধুই শতক জমির মালিক হয়েও সরকারী ৪০ শতকের মতো খাস জমি কখল করে তথা ভাড়াটিয়া ঘর নির্মাণ পাশাপাশি ন তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাকা দালান নির্মাণ করেছি। এছাড়া হাতিমারা এলাকায় আমার নামে জায়গা ও বাগান, কাউখালী হাসপাতালের ভিতরে জায়গা জোর পূর্বক দখল করে কাউখালী পুরাতন টিএনপি’র উপর জায়গা, শামুকছড়িতে বেশ কয়েক একর পাহাড়-বাগান সম্বলিত জায়গা এবং কাউখালী কলেজের পিছনে ৯.০০ একর সেগুন বাগান, ব্যাংক ব্যালেন্স ও আমার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বেশ স্বর্নালংকার রয়েছে মর্মে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যা ভিত্তিহীন কর্তা-বার্তা মনগড়া তথ্য। এইসব তথ্যের ব্যাপারে কোন সত্যতা পাওয়া গেলে আমি প্রচলিত আইনে যে কোন শাস্তি মাথা পেতে নেব। এইসব স্বার্থন্বেষী মহল পূর্ব শক্রতার জের ধরে আমার ক্ষতিসাধন করার জন্য এহেন মিথ্যা আজগুবি তথ্য সরবরাহ করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, পত্রিকা দুইটিতে পারিবারিক সদস্য মুজিবল হক পাটোয়ারী, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, এবং নুর উদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, তারা নাকি তাদের অর্জিত সকল প্রকারম টাকা পয়সা আমার কাছে গচ্ছিত রেখেছেন। তাদের দাবী সমূহ হাস্যকর, বাস্তব বির্বজিত ও পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। এছাড়া আলমগীর ড্রাইভার, জান্নাতুল ফেরদৌস, আব্দুল খালেক, জাহাঙ্গীর আলম, হারুন, রবিউল ইসলাম, আব্দুল হান্নান, মোহাম্মদ বাসীর মিয়া, নুর ইসলামরা যেসব কথা বলেছেন তা তাদের শিখানো বুলি উচ্চারণ ছাড়া কিছুই নয়। তাদের সবার একটিই উদ্দেশ্যে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে আমাকে ক্ষতিসাধন করা। আর তাদের পরিচালনা করেছে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মোঃ ফারুক। এই সাংবাদিক পরিচয় দানকারী ফারুক আমার কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করেন অন্যথায় আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশনসহ আমাকে অপহরণ করে গুম হত্যা করার প্রকাশ্যে হুমকী প্রদান করেন। আর এই সাংবাদিক পরিচয় দানকারী ফারুককে আমি ২০ হাজার টাকা প্রদান করি। কিন্তু সে তার দাবীকৃত চাঁদার টাকা আমার নিকট থেকে আদায় করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনকে ক্ষেপিয়ে তুলেছে। আর আষাঢ়ের গল্পের ন্যায় ভিত্তিহীন বানোয়াট গল্প রচনা করে প্রকাশ পূর্বক আমার নিকট থেকে তার দাবীকৃত চাঁদার টাকা আদায়ের বন্দোবস্তি করেছে। এছাড়া রফিকুল ইসলাম রাজু, মহব্বত আলী, রিনা বেগম আবু জাফর (ফার্মেসী দোকান), মোঃ মঈন উদ্দিন, সাগর পাটোয়ারীসহ আরো অনেকেই আমাকে ও আমার পরিবারকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

তাই এইসব স্বার্থন্বেষী মহল থেকে রক্ষাসহ তাদের রোষানল থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের প্রতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান তিনি।

আলোকিত রাঙামাটি