রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৫:৪২, ১৩ মে ২০২০

স্বাস্থ্য ও কৃষিতে উন্নয়ন বরাদ্দ বাড়ছে

স্বাস্থ্য ও কৃষিতে উন্নয়ন বরাদ্দ বাড়ছে

করোনা পরিস্থিতি অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী অর্থবছরের (২০২০-২১) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সাজানো হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ রোধ এবং অভিঘাত মোকাবিলায় নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ছে। এডিপিতে স্বাস্থ্য খাতে ১৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দের সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) চেয়ে যা তিন হাজার কোটি টাকা বেশি।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। স্বাস্থ্য খাতের মতো নতুন এডিপিতে কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। আরএডিপির তুলনায় বরাদ্দ বাড়ছে এক হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। মোট বরাদ্দ দাঁড়াচ্ছে ৮ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের আরএডিপিতে কৃষিতে বরাদ্দ রয়েছে ৬ হাজার ৬৭২ কোটি ১১ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনে গতকাল মঙ্গলবার আগামী অর্থবছরের এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করতে বর্ধিত সভা হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী এম এ মান্নান। এডিপির এ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) উপস্থাপনা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আগামী মঙ্গলবার এনইসির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন সমকালকে জানান, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপের এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি মাথায় রেখে আগামী অর্থবছরের এডিপি সাজানোর চেষ্টা করছেন তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বাস্থ্য এবং কৃষি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কারণে এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরের তুলনায় বেশি বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়া চূড়ান্ত করার আগে সব মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ প্রস্তাব নেন তারা। মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের প্রস্তাবেও করোনার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। আগামী ১৯ মে মঙ্গলবার এনইসিতে এডিপির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গেল এপ্রিল পর্যন্ত এপিবি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। অথচ বছরের আর মাত্র তিন মাস বাকি। গত অর্থবছরের একই সময়ে বাস্তবায়নের পরিমাণ ছিল ৫৫ শতাংশ। আইএমইডির এক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, সাধারণত বছরের শেষ মাসগুলোতে বাস্তবায়নের হার বেশি হয়ে থাকে। করোনার কারণে এ বছর সে সুযোগ নেই। তিনি জানান, কমছে বৈদেশিক সহায়তা। করোনায় প্রণোদনা এবং ভর্তুকি বাবদ বড় ব্যয়ের জোগান দিতে হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, করোনার কারণে আগামী অর্থবছরের এডিপিতে কমছে প্রকল্পের সংখ্যা। ৬১টি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) প্রকল্পসহ মোট বরাদ্দ রাখা প্রকল্পের সংখ্যা এক হাজার ৬২৭টি। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রকল্পের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭০০। গত কয়েক বছর ধরে গড়ে ২০ শতাংশ হারে এডিপির আকার বাড়ানো হচ্ছে। তবে এবার পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশ করা আগামী অর্থবছরের এডিপি চলতি অর্থবছরের আরএডিপির তুলনায় মাত্র ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।

জানা গেছে, এবারের এডিপিতে কমছে প্রকল্পের সংখ্যা। ৬১টি সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব (পিপিপি) প্রকল্পসহ মোট বরাদ্দ রাখা প্রকল্পের সংখ্যা এক হাজার ৬২৭টি। চলতি বছর বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রকল্পের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭০০। ১৭টি খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে পরিবহন খাতে। এ খাতের মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিবহন, সেতু বিভাগ এবং রেলপথ, নৌ, বেসামরিক বিমান পরিবহন। চলমান পদ্মা সেতু ও রেল সংযোগসহ সব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে আগামী অর্থবছরও পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ খাতে ২৪ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। শিক্ষা খাতে ২৩ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা অর্থাৎ তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

সূত্রঃ সমকাল

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ