রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

হেফাজত নেতা মামুনুলের এত টাকা!

হেফাজত নেতা মামুনুলের এত টাকা!

মাদ্রাসার হুজুর হয়েও হঠাৎ অদৃশ্য অর্থায়নে ভাস্কর্য বিরোধিতা করার নামে বিশাল সভা-সমাবেশ করে দেশব্যাপী সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, বিতর্কিত বক্তা মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন নেতা ফয়জুল করিম। কাদের অর্থায়নে বা কোন গোপন উৎস থেকে অর্থ পেয়ে হঠাৎ করে ভাস্কর্যবিরোধিতার নামে এসব করছেন বাবুনগরীরা, সেই বিষয়ে অভিযোগে পেলে তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ভাস্কর্য ইস্যুতে আন্দোলনের নামে বাবুনগরী ও মামুনুলদের আয়েসি জীবন যাপনের কারণ খুঁজে বের করবে দুদক।

জানা গেছে, ভাস্কর্যবিরোধিতার নাম করে ধর্মীয় আন্দোলন গড়ে তোলার নামে আয়েসি জীবন যাপন করছেন বাবুনগরী ও মামুনুলরা। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামুনুল হকের আয়েসি খাবার ও জীবন যাপনের ছবি ভাইরাল হওয়ায় নড়চড়ে বসেছে দুদক। দুদক সূত্র বলছে, মাদ্রাসার হুজুর হয়েও বাবুনগরী ও মামুনুলরা আয়েসি জীবন যাপন করেন। এছাড়া ভাস্কর্য ইস্যুতে হঠাৎ করেই মাঠে নেমেছেন তারা। তাদের এমন বিরোধিতার পেছনে কালো টাকার ইন্ধন রয়েছে বলে দুদক অনুমান করছে। বিশেষ করে দেশিবিরোধী কিছু চক্র মামুনুলদের অনৈতিক উপায়ে অর্থ সহায়তা করছে বলেও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্মীয় আন্দোলনের নামে দেশে কালোটাকার বিস্তার ঘটিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় তারা, আর তাদের পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে কিছু কালো টাকার মালিকরা। বিশেষ করে হেফাজত নেতাদের অর্থায়নের পেছনে আবদুল আউয়াল মিন্টু ও মির্জা আব্বাসের মতো অর্থ পাচারকারী ও কালো টাকার মালিকদের সম্পৃক্ততার গুঞ্জন ওঠার পরই সতর্ক হয়ে ওঠে দুদক। বর্তমানে বাবুনগরী, মামুনুল হক ও ফয়জুল করিমের ব্যাংক হিসাব লেনদেনের উপর নজর রাখছে দুদক। অভিযোগ পেলেই এই তিন নেতার আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিবে দুদক এবং কালো টাকা লেনদেনে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

এদিকে হেফাজত ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বলছে, আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে দুদকের খোঁজ-খবর নেয়ার এমন প্রাথমিক সিদ্ধান্তে ঘাবড়ে গিয়েছেন হেফাজতের শীর্ষ তিন নেতা। অতীতে তাদের লেনদেন নিয়ে কেউ মাথা না ঘামানোর কারণে ইচ্ছেমতো ব্যাংকে লেনদেন করেছেন তারা। কিন্তু হঠাৎ করে দুদকের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে পেরে তারা আয়কর আদায় প্রসঙ্গে আইনজীবীর সাথেও কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। দুদকের জাল থেকে বেরিয়ে আসতে নানা ফন্দি-ফিকির করছেন বাবুনগরীরা, এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। কারণ দুদকের হাতে আটকা পড়লে রেহাই নেই বলেই মনে করেন তারা।

আলোকিত রাঙামাটি