‘হেলথ আইডি কার্ড জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় যুগান্তকারী উদ্যোগ’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবায় ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড প্রস্তুতকরণ দেশের মানুষের জন্য একটি মহৎ ও যুগান্তকারী উদ্যোগ। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই এ রকম হেলথ আইডি কার্ডের প্রচলন রয়েছে। এই কার্ড বিতরণের মাধ্যমে বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য সেবায় আরেকটি মাইল ফলক উন্মোচিত হলো।
রোববার দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে হেলথ আউটকাম পরিমাপ এবং ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হেলথ আইডি কার্ডটিতে একজন মানুষের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যগুলো সংযুক্ত থাকবে। কম্পিউটারের সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই তথ্যগুলি একজন চিকিৎসক দ্রুত দেখতে সক্ষম হবেন। কার্ডটি সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে এই কার্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারের সফটওয়্যারে রোগীর আগের তথ্য দেখে চিকিৎসক সহজেই চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবেন।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করায় প্রান্তিক মানুষ নিজ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। করোনাতেও এই কমিউনিটি ক্লিনিক নিবিড় পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে এখন ২৮ প্রকারের জরুরি ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মুদাচ্ছের আলী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর সহদেব চন্দ্র রাজবংশী এবং কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অতিরিক্ত সচিব, তুলসী রঞ্জন সাহা প্রমুখ।
আলোকিত রাঙামাটি