১ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ পালনের প্রস্তাব

ফাইল ছবি

মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণীয় করে রাখতে পয়লা ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালনের প্রস্তাব দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৈঠকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈন্যদের ব্রিটিশরা যেভাবে আজও স্মরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেভাবে চিরস্মরণীয় করে রাখতে পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং কাজী ফিরোজ রশীদ অংশ নেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি ঘোষণা না থাকলেও পয়লা ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করা হয়। এক সময় যখন মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না তখনও যেন তাদের স্মরণ করা হয় সেজন্য মুক্তিযোদ্ধা দিবসটি সরকারিভাবে পালনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকার যদি গেজেট করে একটা দিবস ঘোষণা করে তখন সেটা পালন করার বাধ্য-বাধকতা থাকে। তাই আমাদের প্রস্তাব মন্ত্রণালয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে তুলবে। মন্ত্রীসভা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারি পল্টনে এক মহাসমাবেশে ডিসেম্বরের প্রথম দিনকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণার দাবি করেছিল সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম। ওই বছর থেকে সারাদেশে ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করে আসছে তারা।

বৈঠকে আরো জানানো হয়, মুক্তিযোদ্ধারা যেন স্বচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে তাদের মাসিক সম্মানী ৮ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে মোট ২০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট সাধারণ শিক্ষায় অধ্যয়নরত প্রতিজনকে ১ হাজার টাকা এবং মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত প্রত্যেককে ১ হাজার ৫০০ হারে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৪৬০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তা যাচাই-বাছাইয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে বৃত্তিপ্রাপ্তদের বিস্তারিত তথ্য মন্ত্রণালয়কে আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আয় ও ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব বিবরণী এবং আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদনসহ আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের যে চিকিৎসা খরচ দেয়া হয় প্রয়োজন অনুযায়ী তা মাসিক হারে প্রদানের ব্যবস্থা করারও সুপারিশ করা হয়।