৪মাসের বেতনসহ ন্যায্য মজুরি প্রদানের দাবিতে কেপিএমে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা কর্নফুলি পেপার মিলস (কেপিএম) লিমিটেডে কর্মরত অস্থায়ী নিরাপত্তা প্রহরীরা তাদের ৪ মাসের বকেয়া বেতনসহ ন্যায্য মজুরি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টায় কেপিএম ১ নং গেইটে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে অস্থায়ী প্রহরীরা জানান, কেপিএমে সর্বমোট ৪৭ জন অস্থায়ী নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োজিত রয়েছে। প্রতি মাসে তারা কেউ কেউ অতিরিক্ত ডিউটিসহ ৪০ থেকে ৪৫ হাজিরা ডিউটি করে থাকেন। কিন্ত কেপিএম কর্তৃপক্ষ তাদের মাত্র ২৬ হাজিরার বেতন-ভাতা প্রদান করেন এবং তারা বিগত ৪ মাস ধরে কোন বেতন পাচ্ছেন না। এছাড়া তাদের ২ জন অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মী মঈন উদ্দিন মিঠু এবং ওয়াল্লি উল্লা সুমনকে বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহারের কারনে ডিউটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ তারা প্রতিমাসে স্থায়ী শ্রমিকের ন্যায় ৩ হাজার ৯শ' ২০ টাকা হারে ভাড়া প্রদান করে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো জানান, বর্তমানে নিরাপত্তা শাখায় যে সকল স্থায়ী নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছে, তাদের ন্যায় আমাদেরকে শিফট অনুসারে ডিউটি করানো হচ্ছে না। বরং তাদের ৩ শিফট ডিউটি দিলে আমাদের ৪ শিফটে ডিউটি করানো হচ্ছে। তারা তাদের টাকায় পোষাক ও বিভিন্ন ডিউটি সামগ্রী কিনে ডিউটি করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা স্থায়ী নিরাপত্তা প্রহরীর ন্যায় ছুটি, চাকরি স্বায়ীকরণ, রমজানে ইফতারের টাকা প্রদান, স্থায়ী শ্রমিকের ন্যায় ছেলে-মেয়েদের স্কুল ফি' কমানোসহ তাদের যাবতীয় বেতন পরিশোধ এবং ন্যায্য মজুরির দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন, অস্থায়ী নিরাপত্তা প্রহরী নুরুল আলম। এসময় অস্থায়ী নিরাপত্তা প্রহরী জয়নাল আবেদীন, শাহাবুদ্দীন বাবু, মঈনউদ্দিন মিন্টু, নিজাম উদ্দিনসহ সকল অস্থায়ী নিরাপত্তা প্রহরীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ এমএমএ কাদের জানান, বিসিআইসির নির্দেশনা মোতাবেক সকল স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিককে বিগত আড়াই বছর ধরে ওভার টাইম দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও যেসমস্ত অস্থায়ী নিরাপত্তা প্রহরী অতিরিক্ত ডিউটি করেছে, তাদের হিসেব করে মজুরি প্রদান করা হবে। তিনি জানান, কেপিএমের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী এবং শ্রমিক বিগত ৪ মাসের মধ্যে শুধু ডিসেম্বর মাসের বেতন পেয়েছেন। তাদেরকেও ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়ার জন্য চেক ইস্যু করা হয়েছে। যে দুইজন শ্রমিকের ডিউটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তারা নিয়মের বাহিরে হিটার চালু করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য অপরাধের ঘটনার অভিযোগ আছে।